রাজ‍্যের শস‍্যগোলার মাটিতে হবে আপেল চাষ , বিকল্প চাষে বিশেষ নজর

12th January 2021 10:24 pm বর্ধমান
রাজ‍্যের শস‍্যগোলার মাটিতে হবে আপেল চাষ , বিকল্প চাষে বিশেষ নজর


নিজস্ব সংবাদদাতা ( মেমারী ) :  শুরু আপেল চাষ।  চাষিদের বিপুল অর্থলাভের সম্ভাবনা রাজ‍্যের শস‍্যগোলা বর্ধমানে । পূর্ব বর্ধমানের মেমারীতে একটি ইংরাজী মাধ‍্যম স্কুলের মাটিতে বিশেষ উদ‍্যোগ গ্ৰহণ ।  বাংলার কৃষকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে  স্কুলের মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে আপেল চাষের সূচনা করলেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শ্রী অরুন কান্তি নন্দি ।
        ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বশাসিত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় ভারতের মধ্যে প্রথম স্কুল,যারা এলাকার চাষিদের আপেল চাষে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিলেন । জানা গিয়েছে, এর আগে গুজরাট , কিংবা উত্তরপ্রদেশের পরিবেশে যে পদ্ধতিতে ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া আপেল চাষের উদ্যোগ নিয়েছে ঠিক সেই পদ্ধতিতেই অর্থাৎ 'এইচ আর এম এন ৯৯' প্রজাতির আপেল চারা ও বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাঁদেরই সহযোগিতায় পশ্চিম বাংলায় মেমারির এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের তত্ত্বাবধানে সূচনা হলো আপেল চাষের। স্কুলের মাটিতেই হবে এই চাষ। এর আগেে আয়ুর্বেদিক জীবাণুনাশক টানেল বানিয়ে নজর কেড়েছে এই স্কুুল । জানা গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশের বিলাসপুর থেকে বিশেষ প্রজাতির আপেল গাাছের উদ্ভাবক হরিমান শর্মাার কাছ থেকে আপেল চারা নিয়ে আসা হয়েছে। দ্রুত রোপণের কাজ সেরে ফেলতে চাইছে স্কুল প্রশাসন। ২০টি আপেল চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুতের কাজ চলছে জোরকদমে। ভারত সরকারের উক্ত সংস্থা ও স্কুুলের আশা, গাছ লাগানোর দু'বছরের মধ্যেই শুরু হয়ে যাবে উৎপাদন। আর সেটা হলে আপেল চাষে রাজ্যকে পথ দেখাবে এই স্কুল । বাণিজ্যিকভাবে এই আপেল চাষ যে সফল হবে কিংবা স্বাদে, আকৃতি বর্ণে কতটা হিমাচল সমমানের হবে সেই নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী কৃষি বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানী গণ। স্কুলের অধ্যক্ষ বলেন , স্কুলে আপেল চাষের বিশেষজ্ঞ তৈরির উদ্দেশ্যে ইকো ক্লাবের ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষক গণ কে চাষের প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
গুজরাট , বাংলাদেশের সিলেট , উত্তরপ্রদেশে বানিজ্যিক ভাবে আপেলের চাষ হচ্ছে ৷ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে সমীক্ষা করিয়ে স্কুল বুঝতে পারে , সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে যথেষ্ট মিল রয়েছে এই এলাকার ৷ সেই কারণে আপেলের চাষ করার চিন্তাভাবনা শুরু করে স্কুল প্রশাসন৷  ন্যাশনাল ইনভেশন ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞতা থেকে আশা করা যাচ্ছে চারা গাছ রোপণের পর উৎপাদন হতে সময় লাগবে দু' তিন বছর। একটি গাছ থেকে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ কেজি আপেল উৎপাদিত হবে এবং পরবর্তী দশ বছরে তা ৮০ থেকে ১০০ কেজি প্রতি বছর হবে।  ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানকে এলাকার কৃষক গণের মধ্য সঞ্চারিত করতে স্কুল বিশেষ ওয়ার্কশপের  পরিকল্পনা করেছে। এই পরীক্ষা সফল হলে বাড়তি আয়ের জন্য স্থানীয় শ্রমিকদের ভিনদেশে যেতে হবে না। স্কুলের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষেরা ।

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।